মিললো দুঃসংবাদ, যেকোন মূহূর্তে হতে পারে আরও বড় ভূমিকম্প

২১ ও ২২ নভেম্বর পরপর দুইদিন সকালে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ৫ দশমিক ৭ মাত্রা ও ৩ দশমিক ৩ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প অনুভূত হয় সারাদেশে। ২১ তারিখে নরসিংদীর মাধবদী এলাকায় উৎপত্তি হওয়া এ ভূকম্পনে সারা দেশে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ঘর-বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন।
পরে এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদরা জানান “ঢাকা ও এর আশপাশে গত কয়েক দশকে হওয়া ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী। দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪ থেকে ৫ মাত্রার আরও কিছু কম্পন অনুভূত হলেও সেগুলোর উৎপত্তিস্থল দেশের বাইরে।”
এদিকে, ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ হুমায়ুন আখতার বলেন, “২০০৩ সালে রাঙ্গামাটির বরকল ইউনিয়নে ভারত সীমান্তের কাছে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। সেটিও ছিল শক্তিশালী। আর ১৯১৮ সালে দেশের ভেতরে সর্বোচ্চ ৮ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়।”
আগামী কয়েক মাসের ভিতরেই যেকোন সময়ে যেকোন মাত্রার ভূমিকম্প সংগঠিত হবার শঙ্কা জানিয়েছে আওহাওয়াবিদরা। তবে ভূমিকম্পের বিষয়ে আগাম সুনিদ্রিষ্ট তথ্য প্রদান সম্ভব নয় বলে সকলকে সবসময় সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।

