Sunday, November 23, 2025
Homeজাতীয়হাসিনার ফাসির রায়ের আড়ালে নজিরবিহীন গোপনীয়তায় দীর্ঘমেয়াদে বন্দর বিদেশিদের হাতে হস্তান্তর: জাতীয়...

হাসিনার ফাসির রায়ের আড়ালে নজিরবিহীন গোপনীয়তায় দীর্ঘমেয়াদে বন্দর বিদেশিদের হাতে হস্তান্তর: জাতীয় অর্থনীতি ও নিরাপত্তা শঙ্কা!

হাসিনার ফাসির রায়ের আড়ালে নজিরবিহীন গোপনীয়তায় দীর্ঘমেয়াদে বন্দর বিদেশিদের হাতে হস্তান্তর: জাতীয় অর্থনীতি ও নিরাপত্তা শঙ্কা!

হাসিনার ফাসির রায়ের আড়ালে নজিরবিহীন গোপনীয়তায় দীর্ঘমেয়াদে বন্দর বিদেশিদের হাতে হস্তান্তর: জাতীয় অর্থনীতি ও নিরাপত্তা শঙ্কা!

​সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল এবং ঢাকার অদূরে পানগাঁও নৌ টার্মিনাল দীর্ঘমেয়াদী গোপন চুক্তিতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষত, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণার দিনেই এই চুক্তি দ্রুত অনুমোদনের চেষ্টা হওয়ায় এটিকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে। সরকার কর্তৃক চুক্তিপত্র প্রকাশে অনীহা থাকায় এই গোপন লেনদেন দেশের জাতীয় অর্থনীতি ও নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

​বন্দর হলো একটি দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি। চট্টগ্রাম বন্দর একটি লাভজনক সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও এটিকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রশ্নবিদ্ধ।

চট্টগ্রাম বন্দরের মতো লাভজনক টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব দীর্ঘমেয়াদে বিদেশিদের হাতে চলে গেলে, এর বিশাল পরিমাণ রাজস্বের ভাগ দেশ হারাবে।
​অভিযোগ রয়েছে, বিদেশি কোম্পানি তাদের লুটপাটের অংশ হিসেবে শুল্ক ও মাশুল বৃদ্ধি করছে (যেমন ৪১% শুল্ক বৃদ্ধি)। এর ফলে আমদানি-রপ্তানি খরচ বাড়বে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বেড়ে যাবে।
​বিদেশি অপারেটরদের অধীনে স্থানীয় শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বার্থ ও চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার হরণসহ নানা জুলুমের আশঙ্কা করছেন তারা।
​চুক্তিপত্রের শর্তাবলী গোপন রাখা হওয়ায় বিনিয়োগের স্বচ্ছতা এবং দেশের স্বার্থ কতটুকু সুরক্ষিত হচ্ছে, তা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে।


​দেশের প্রধান সমুদ্র ও নৌ-বন্দরগুলি কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘমেয়াদী গোপন চুক্তিতে এগুলির নিয়ন্ত্রণ বিদেশিদের হাতে চলে যাওয়ায় দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিয়ে গভীর শঙ্কা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, সমুদ্র ও নদীবন্দর ক্রমান্বয়ে বিদেশিদের হাতে চলে গেলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে। বন্দরগুলো দেশের নিরাপত্তার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বন্দর হলো একটি দেশের গেটওয়ে। এর পরিচালনা ও তথ্যপ্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ বিদেশি শক্তির হাতে থাকলে কৌশলগত দিক থেকে দেশ দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এই চুক্তি নিয়ে প্রতিবাদ দমন করতে বন্দর এলাকায় সভা-সমাবেশ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিহীন আচরণ হিসেবে সমালোচিত।



ইতিমধ্যেই ​বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শ্রমিক সংগঠন, পেশাজীবী ও নাগরিক সমাজ এই গোপন চুক্তির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও আন্দোলন গড়ে তুলেছে। তাদের মূল দাবিগুলো হলো:
​চুক্তি বাতিল: অবিলম্বে বিদেশিদের হাতে বন্দর হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
​চুক্তিপত্র প্রকাশ: সরকারের প্রতি দীর্ঘমেয়াদী এই গোপন চুক্তির শর্তাবলী জনসমক্ষে প্রকাশ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
​প্রকাশ্য দরপত্র: যদি বিদেশি অপারেটর নিয়োগ করতেই হয়, তবে তা অবশ্যই প্রকাশ্য ও আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে করার দাবি জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment - Advertisement

আলোচিত

মন্তব্য