- পাষন্ড মাদ্রাসা শিক্ষকের নির্মম পিটুনিতে শিক্ষার্থী আহত!
ভোরে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়ায় নড়াইলের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক আরাফাত হুসাইনের বিরুদ্ধে।

বেতের আঘাতে শিশু কাজী সামিয়াল হাসান (১১)-এর সারা শরীর থেকে রক্ত ফুড়ে বেরিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভোরে নড়াইল শহরের দূর্গপুর উসমান বিন আফফান (রা:) মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এই নির্মমতার শিকার হয় শিশুটি। ঘটনার পর বিকেলে তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নির্যাতিত শিশু এবং তার স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের ওয়াক্তে ঘুম ভাঙতে দেরি হওয়ায় তার সুন্নাত ক্বাজা হয়ে যায়। এই সামান্য ‘অপরাধে’ শিক্ষক আরাফাত হুসাইন তাকে বেত দিয়ে নৃশংসভাবে পেটান। বেতের আঘাতে শিশুটির সারা শরীর দিয়ে রক্ত বের হলেও শিক্ষক আরাফাত তাকে কোনো চিকিৎসা না দিয়ে সারাদিন মাদ্রাসায় আটকে রাখেন। বিকেলে শিশুটির স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং চিকিৎসার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সামিয়াল প্রাক-প্রাথমিক স্তরের নাজেরা শ্রেণির ছাত্র। তার স্বজনরা এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষক আরাফাত হুসাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বার্তা বাজারকে বলেন, এ ঘটনার লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।