পাকিস্তানের জেনারেল সাহির শামসাদ মির্জা’র লাগেজ থেকে ডামি অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার!
চার দিনের সরকারি সফর শেষে ঢাকা ছাড়ার সময় পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামসাদ মির্জার লাগেজে একটি ডামি অ্যাসল্ট রাইফেল পাওয়ায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অস্বস্তির সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশি নিরাপত্তা বাহিনীর সতর্কতায় ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় এই স্মারক অস্ত্রটি বিমানবন্দরে ধরা পড়ে।
জেনারেল মির্জা, যিনি পাকিস্তানের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর সামরিক কর্মকর্তা, তাঁর স্ত্রী ও তিন সহযোগী কর্মকর্তাসহ এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮৭ ফ্লাইটে দুবাই হয়ে পাকিস্তানের উদ্দেশে রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
জানা গেছে, সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিমানবন্দরের সিআইপি (Commercially Important Person) গেটে যখন অতিথিদের মালামাল স্ক্যান করা হচ্ছিল, তখন দর্শনার্থীদের লাগেজের মধ্যে থাকা একটি ‘ভারী লাগেজ’ ইলেকট্রনিক স্ক্যানারে ধরা পড়ে। সামরিক নিরাপত্তা সূত্র নিশ্চিত করেছে, বস্তুটি একটি উপহারের প্যাকেজে মোড়ানো ছিল। প্যাকেজটি খোলার পর একটি স্মারক রাইফেল বেরিয়ে আসে।
সঙ্গে থাকা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, এটি একটি স্মারক অস্ত্র, যা জেনারেল মির্জাকে উপহার দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, গত ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান এই ডামি রাইফেলটি জেনারেল মির্জাকে উপহার দিয়েছিলেন।
উদ্ধারকৃত স্মারক বস্তুটি ছিল ৭.৬২ মিমি বোরের একটি বিডি-০৮ রাইফেল, তবে এতে কোনো ফায়ারিং পিন ছিল না, অর্থাৎ এটি সম্পূর্ণরূপে অকার্যকর ছিল।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, উচ্চ-পর্যায়ের সামরিক স্মারক হওয়া সত্ত্বেও উপহার হিসেবে পাওয়া এই রাইফেলটি পরিবহনের জন্য বাংলাদেশি স্বাগতিক বা পাকিস্তানি অতিথি—কোনো পক্ষই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে অবহিত করেননি। আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী এই ধরনের অস্ত্র-সদৃশ জিনিসপত্র বহনের ক্ষেত্রে পূর্বানুমতি ও বিশেষ ঘোষণা বাধ্যতামূলক।


